২৮ দিনে গাজার অর্ধশতাধিক মসজিদ পুরোপুরি বিধ্বস্ত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৮ দিন ধরে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এতে নারী, শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ভয়াবহ এ হামলায় অন্তত ৫৪টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ১১০টি মসজিদ আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামাহ মারুফ এ তথ্য জানান।

 

 

সালামাহ মারুফ বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৬৪টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১১০টি মসজিদ আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়। তা ছাড়া তিনটি গির্জা লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের দাবি অনুসারে দেশটি যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় ১২ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে।

 
তবে সব হামলাই সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে।’ তা ছাড়া গাজায় ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলা হয়, যা ১২ হাজার টনের হিরোশিমা পারমাণবিক বোমার দ্বিগুণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

সালামাহ মারুফ আরো বলেন, ‘গত ২৭ দিনে দখলদার ইসরায়েল ৯৬৫টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৯ হাজার ৬১ জন নিহত হয়েছে; যার মধ্যে তিন হাজার ৬৭০টি শিশু এবং দুই হাজার ৩২৬ জন নারী রয়েছেন।

 
তা ছাড়া ২৩ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে এবং দুই হাজার ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।’

 

বিভিন্ন পেশার মানুষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৩৫ জন চিকিৎসক, ৪০ জন সাংবাদিক, ১৮ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং ৪৯ জন ইমাম ও ইসলাম প্রচারকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে। হামলায় দুই লাখের বেশি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৩৫ হাজার ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়। এ ছাড়া ২১৪টি বিদ্যালয় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৪৫টি বিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *