ঈশ্বরদীতে ককটেল বিস্ফোরণ, রেললাইনে আগুন-ভাঙচুর

পাবনার ঈশ্বরদীর রেলগেটে অবরোধের সমর্থনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, রেললাইনে আগুন, একটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় যুবদল ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পৌর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথমদিন রবিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বেশ কয়েকজন যুবক ব্যানার নিয়ে রেলগেট এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে। এসময় রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তারপর একটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাসের গ্লাস ভাঙচুর করে।

ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী, তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানাসহ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে অবরোধের সমর্থকরা পিছু হটে।

 

এর কিছুক্ষণ পরেই অবরোধ বিরোধীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলগেটস্থ বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর ব্যক্তিগত অফিস ও পশ্চিটেংরি এলাকায় যুবদল নেতা মেহেদী হাসানের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাসহ ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) টিএম রাহসিন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভাঙচুর করা ট্রাকচালক সুমন হোসেন জানান, তিনি রেলগেট অতিক্রমকালে তার ট্রাকের সামনের কাঁচ ভেঙে দেয় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী বলেন, শান্ত ঈশ্বরদীকে অশান্ত করার জন্য যারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আাতঙ্ক ছড়িয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক রাজনীতির অংশ হিসেবে অগ্নিসন্ত্রাসীরা চোরের মতো ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিস্ফোরণের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।’

এদিকে এসব ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঈশ্বরদীতে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণে শব্দ শুনেছি।

রেললাইনে আগুন তাৎক্ষণিক নিভিয়ে ফেলা হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের রিকুইজিশন করা একটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।’ 

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, এ ঘটনায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *